স্থিতিশীল দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই অঞ্চলের বৃহত্তম দেশ হওয়ায় একটি স্থিতিশীল, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দক্ষিণ এশিয়া গড়তে ভারতকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি পরস্পরের সহযোগিতায় এগিয়ে আসি তাহলে আমাদের জনগণের উন্নয়ন অবশ্যম্ভাবী।’
শুক্রবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ১০ দিনের উদযাপনের সমাপনী অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘মুজিব চিরন্তন’ প্রতিপাদ্যে ১৭ মার্চ ১০ দিনের অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়া সর্বাধিক ঘনবসতিযুক্ত অঞ্চল, কিন্তু এই অঞ্চলে বিপুল সম্পদ রয়েছে। আমরা সবাই যদি এই সম্পদগুলোর যথাযথ ব্যবহার করতে পারি তাহলে এ অঞ্চলকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের কল্যাণে সব মতপার্থক্য ভুলে একসাথে কাজ করার জন্য আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই শুভ মুহূর্তে আসুন প্রতিজ্ঞা করি সব ভেদাভেদ ভুলে আমরা জনগণের মঙ্গলের জন্য কাজ করব।’
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির জনক কর্তৃক প্রণীত আমাদের পররাষ্ট নীতি হলো ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব এবং কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়’।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দক্ষিণ এশিয়াকে উন্নত-সমৃদ্ধ অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করব।
ভারতের সাথে সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে:
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভারতের সাথে বর্তমানে বাংলাদেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘প্রতিবেশী সর্বাগ্রে’ নীতির প্রশংসা করি। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের টিকা পাঠানোর মাধ্যমে মোদিজির এই নীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত কয়েক বছরে বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারত এখন আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী দেশ।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি ফেনী নদীর উপর মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে। এই রাজ্যগুলো এখন চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে, ব্যবহার তারা করছে। সেই সাথে মোংলা বন্দরও তারা ব্যবহার করতে পারবে।’
সূত্র : ইউএনবি
Related News
সমন্বয়কদের বৈঠক শেষে হাসনাত: উপদেষ্টা নিয়োগে অবশ্যই ছাত্রদের মতামত নিতে হবে
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহবায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের ফসল হলো অন্তর্বর্তী সরকার। তাইRead More
পৃথিবীর সুরক্ষায় ‘জিরো কার্বন’ ভিত্তিক জীবনধারার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা ইউনূুসের
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ পৃথিবীকে জলবায়ু বিপর্যয় থেকে রক্ষা করার জন্য ‘শূন্যRead More