সিলেট আ. লীগের মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিচারণ
সিলেট আওয়ামী লীগ আয়োজিত মুজিব শতবর্ষের অনুষ্ঠানে সিলেটের মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ‘যুদ্ধের পর বঙ্গবন্ধু একবার সিলেটের মোগলবাজার এসেছিলেন। অনেক মানুষ এসেছেন বঙ্গবন্ধুর সাথে দেখা করতে। সবার সাথে কথা বলার সময় হঠাৎ তিনি ডাক দিলেন ‘এই ফরিদ, এদিকে আসো। কি খবর তোমার।’ তার সাথে কথা বলা শেষ করে পকেটে থেকে কিছু একটা বের করে ফরিদের হাতে দিয়ে বলেন, নাও তোমার ছেলে মেয়েদের দিও।’
সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর সহজ সরল জীবন যাপন, প্রতিটি মানুষের সাথে তার স্বতঃস্ফূর্ত কথাবার্তা, তার শক্তিশালী স্মরণশক্তি নিয়ে এভাবেই স্মৃতিচারণ করে উচ্ছ্বাসিত, আবেগাপ্লুত হন সিলেটের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, বঙ্গবন্ধু যে কত মানুষের নাম জানতেন তার সাথে দেখা না হলে বুজতে পারতাম না। তাকে যে চা খাওয়াতো তিনি তার নামও জানতেন। বঙ্গবন্ধু না হলে আমরা এই লাল-সবুজের পতাকা পেতাম না। বঙ্গবন্ধু না হলে আমরা এই মানচিত্র পেতাম না।
সিলেট আওয়ামী লীগের মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে ‘মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ, বঙ্গবন্ধু এক অবিভাজ্য সত্তা’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা।
‘নব প্রজন্মের নব চেতনায় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানকে ধারণ করে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
ধারাবাহিক এই অনুষ্ঠানের ১০ম দিনে সোমবার (১৬ মার্চ) বিকাল সাড়ে চারটায় রিকাবিবাজারস্থ সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ও মহানগর কমান্ডের নিবেদনে এই অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয়।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা শাখার সাবেক সভাপতি সুভ্রত চক্রবর্তী জুয়েলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বীরপ্রতীক অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট মহানগর শাখার সাবেক সভাপতি ভবতোষ রায় বর্মণের সঞ্চালনায় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদ উদ্দিন আহমদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রফিকুল হক। আরও বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ পাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক উদ্দিন আহমদ।
এর আগে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্চে আগত অতিথিদের উত্তরীয় দিয়ে বরণ করে নেন। অতিথিদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমেদ।
আলোচনা সভা শেষে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় ছিল চারুবাক, শিল্পাঙ্গন, স্বরলিপি, কথাকলি ও উড়াং সম্প্রদায়ের নৃত্য। একক পরিবেশনায় ছিল সুমন বড়ুয়া, গৌতম চক্রবর্তী, পঙ্কজ দেব, ফারজানা মাহজাবিন দিয়া।
আয়োজনের ১১তম দিন মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভা করবেন। সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের লাইভ সম্প্রচার ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা থাকবে।ওই অনুষ্ঠানে সিলেটের সর্বস্থরের মানুষজনকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আয়োজকবৃন্দ।
Related News
এলএসটিডি প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার পাইকরাজ প্রযুক্তি গ্রামে বীজ সংরক্ষণ পাত্র বিতরণ
কৃষকদের মাঝে মানসম্মত ধানের বীজ সংরক্ষণের সচেতনতা বৃদ্ধি ও টেকসই কৃষি উন্নয়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ধানRead More
“বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সিলেটে ব্যাপক শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব” – খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির
“বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সিলেটে ব্যাপক শিল্পায়নের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে” বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেনRead More

