Main Menu

সিলেটের নদী গুলো উপচে পড়ছে, প্লাবিত হচ্ছে বিভিন্ন এলাকা

সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। সুরমা নদী উপচে সোমকবার সকাল থেকে সিলেট নগরেও পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। দুপুর পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিলেটে বৃষ্টি কমলেও ঢলের কারণে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

পানি বাড়ছে সীমান্তবর্তী উপজেলা কানাইঘাট, জকিগঞ্জ, কোম্পানীগঞ্জ, জৈন্তাপুর, সদর উপজেলাসহ সিলেটের প্রায় সব উপজেলাই বন্যা আক্রান্ত হয়েছে।

এদিকে, সিলেটের তিন নদীর পানি তিনটি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

সোমবার সকাল থেকে সুরমা নদীর তীর উপচে নগরের বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে তলিয়ে যায়, নগরের উপশহর, সোবহানিঘট, কালিঘাট, ছড়ারপাড়, শেখঘাট, তালতলা, মাছিমপুর, টুকেরবাজার সহ বিভিন্ন এলাকা। এসব এলাকার বাসাবাড়ি, দোকানপাট ও বিভিন্ন স্থাপনায়ও পানি ঢুকে পড়ে।

এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোমবার সকালে ‘ইউএনো গোয়ানঘাট’ ফেসবুক পেজ থেকে এলাকাবাসীকে সতর্ক করে লেখেন- ‌’প্রিয় গোয়াইনঘাটবাসী, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে বৃষ্টি বাড়বে। সকলকে প্রয়োজনীয় সাবধানতা অবলম্বন করার অনুরোধ করা হলো।

ইতোমধ্যে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশনায় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ আছে, এ কার্যক্রম চলমান থাকবে। ত্রাণের সাথে পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট দেওয়া হচ্ছে, পানি পানে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে।

পাউবো সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ১.২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকাল সন্ধ্যা ৬টার চেয়ে আজ সকালে এ পয়েন্টে পানি বেড়েছে ০.৩ সেন্টিমিটার।

সুরমার পানি সিলেট পয়েন্টে গতকালের চেয়ে আজ বেড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় সিলেট পয়েন্টে পানি ছিল ১০.৪৯ সেন্টিমিটার। আজ সকালে পানি সীমা দাঁড়িয়েছে ১০.৬৬ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা নদীর পানি আমলশিদ পয়েন্টে আজ সকালে বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ নদীর পানি শেরপুর পয়েন্টেও বেড়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ পয়েন্টে পানি সীমা ছিল ৬.৮৩ সেন্টিমিটার; আজ সকাল ৯টায় পানি সীমা হয় ৬.৯৬ সেন্টিমিটার। পানি বেড়েছে ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও। এখানে আজ সকাল ৬টায় পানি সীমা ছিল ৮.৭০ সেন্টিমিটার; সকাল ৯টায় পানি সীমা দাঁড়ায় ৮.৭৪ সেন্টিমিটার।

এদিকে, গোয়াইনঘাটের সারি নদীর পানি বিপদসীমার ০.৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া কানাইঘাটের লোভা নদীর পানি গতকালের চেয়ে বেড়েছে ০.৩৪ সেন্টিমিটার। গতকাল ছিল ১৪.৩৬ সেন্টিমিটার; আজ সকালে ১৪.৬৫ সেন্টিমিটার।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সিলেটের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, সিলেটে কাল থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমান কমেছে। তবে উজানে বৃষ্টি হচ্ছে, একারণে ঢল নামছে। ফলে নদনদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *