সীমান্ত হত্যা নিয়ে আমরা অত্যন্ত সজাগ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

চলতি বছর সীমান্তে হত্যাকাণ্ড বেড়ে গেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বিষয়টিকে খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তবে সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরকার অত্যন্ত সজাগ রয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ইতালি সফর নিয়ে জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সীমান্ত হত্যা বন্ধে গত কয়েক বছরে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। দেশটি বলছিল সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। ২০১৮ সালে এর কিছুটা প্রতিফলন দেখা গেলে বাংলাদেশও তাতে আস্থা রেখেছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বাস্তব চিত্র নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
নতুন বছরের প্রথম মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন ১০ বাংলাদেশি। এর মধ্যে দুই দিনে ৬ জনকে হত্যা করেছে বিএসএফ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সীমান্তে হত্যাকাণ্ড নিয়ে আমরা অত্যন্ত সজাগ। যখনই এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটে তখনই ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করি। এ বছর সীমান্তে হত্যাকাণ্ড অনেক বেড়ে গেছে। এটি খুবই দুঃখজনক। ভারত সরকার সবসময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, একজনও মারা যাবে না। কিন্তু তারপরও হত্যাকাণ্ড ঘটছে।’
নতুন বছরের প্রথম মাসেও সীমান্ত হত্যা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মোমেন। ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে বলেছি এটি আমাদের জন্য লজ্জাজনক। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক এত উন্নত এবং এর মধ্যে এগুলো হবে কেন?’
মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতীয় কর্তৃপক্ষ যে ব্যাখ্যাটি দেয়ার চেষ্টা করে, তা হলো অনেক সময় সীমান্তে চোরাচালানচক্র- যেটা দুই দেশেরই, তারা বিএসএফকে আক্রমণ করে বসে। আত্মরক্ষার্থে বিএসএফ গুলি চালায়।’
Related News

বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে বিচার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের যাবতীয় কার্যক্রম নিষিদ্ধ করারRead More

মুস্তাফা জামান আব্বাসীর ইন্তেকাল
সংগীতশিল্পী, গবেষক ও লেখক মুস্তাফা জামান আব্বাসী মারা গেছেন। শনিবার (১০ মে) সকালে বনানীর একটিRead More