Main Menu

উ.কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানানো নিয়ে বিভক্ত জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ

জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যরা সোমবার উত্তর কোরিয়ার আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সমালোচনা করলেও রাশিয়া ও চীনের বিরোধিতার কারণে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দিতে পারেনি। কূটনীতিকরা এ কথা জানিয়েছেন।

খবরে বলা হয়, ১৪টি দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও ভারত শুক্রবারের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের ‘কঠোর নিন্দা’ জানায়। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপানের উপকূল থেকে ১২৫ মাইল (২০০ কিলোমিটার) দূরে গিয়ে পড়ে।

উত্তর কোরিয়ার শুক্রবার উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি তাদের একেবারে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) এবং এটির যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার ক্ষমতা রয়েছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো জানায়, ‘উত্তর কোরিয়ার একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ উত্তেজনার সৃষ্টি করছে। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট হুমকি সৃষ্টি করছে।’
পিয়ংইয়ং আগের যেকোনো বছরের তুলনায় ২০২২ সালে অনেক বেশি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে।

চলতি মাসেই উত্তর কোরিয়া স্বল্প, মাঝারি ও দূর পাল্লার ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদ ২০০৬ সাল থেকে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মকাণ্ড নিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রায় ১২টিরও বেশি প্রস্তাব পাশ করেছে।

এ মাসের গোড়ার দিকে যুক্তরাষ্ট্র আরো শাস্তি দেয়া থেকে পিয়ংইয়ং’কে রক্ষার ব্যাপারে বেইজিং ও মস্কোকে দোষারোপ করে।

পশ্চিমা এক কূটনীতিক এএফপি’কে বলেন, চীন ও রাশিয়া সোমবারের বিবৃতিতে তাদের নাম না রাখার কথা বলেছে।

গত মে মাসে চীন ও রাশিয়া আগের ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের জবাবে উত্তর কোরিয়া বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপে মার্কিন নেতৃত্বাধীন এক এক প্রচেষ্টায় ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে।
সূত্র : বাসস






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *