Main Menu

‘সানজিদা-কৃষ্ণারা বহুদূর যাবে’, ছোটন

প্রায় একযুগ ধরে মেয়েদের কোচের ভূমিকায় গোলাম রব্বানী ছোটন। সেই সূত্রে সাবিনা-সানজিদাদের তার হাতের তালুর মতো চেনা। বয়সভিত্তিক বিভিন্ন পর্যায়ে সাফল্যে পেয়েছেন আগেই। এবার সিনিয়রদের পর্যায়ে এসে ছুঁয়েছেন সাফল্যের চূড়া। জিতেছেন নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। অবশ্য এখানেই থেমে থাকতে চাইছেন না টাঙ্গাইল থেকে উঠে আসা এই কোচ। দৃষ্টি তার আরও দূরে। মনে করেন, সানজিদা-কৃষ্ণাদের বহুদূর যাওয়ার সামর্থ্য আছে।

কাঠমান্ডুতে যে এবারই সাফের ট্রফি আসবে, তা হয়তো ভাবাটা কঠিন ছিল। সেই দলে ছিলেন গোলাম রব্বানী ছোটনও। তবে গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতা বিবেচনায় স্বপ্নটা ঠিকই তার মনের গভীরে ছিল লুকায়িত। পারফরম্যান্স দেখাতে পারলে অসাধ্য সাধন সম্ভব- ঠিক এমন ভাবনা মাথায় খেলা করছিল। শেষ পর্যন্ত দশরথের মাঠে গুরুর মর্যাদা রেখেছে সাবিনা খাতুনের দল। উজাড় করে দিয়েছে নিজেদের সবটুকু।

কোচের স্বপ্ন পূরণ আর প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়ায় এখন এই দলকে নিয়ে আরও বড় স্বপ্ন দেখাই যায়! অন্তত গোলাম রব্বানী ছোটন সেটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন। বাংলা ট্রিবিউনকে বলছিলেন, ‘আমাদের মেয়েদের গড় বয়স ২০-২১। ওরা এখনই যে পারফরম্যান্স দেখিয়েছে তা অনন্য। আমরা তাদের নিয়ে আরও এগিয়ে যেতে চাই।’

সেই এগিয়ে যাওয়া হতে পারে এশিয়ান পর্যায়ে। জর্ডান-ইরানের মতো দলকে হারানো কিংবা আসিয়ানভুক্ত দেশকেও ছাড়িয়ে যাওয়া। ঠিক যেমনটা বলেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। কোচ নিজেও সভাপতির সঙ্গে একমত পোষণ করেন। তাই তো তার প্রত্যাশা, ‘সানজিদা-স্বপ্নারা দুয়েক বছর পর আরও পরিণত হলে তখন আরও ভালো খেলবে। ভারত-নেপালের মতো দলগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো থাকবেই। আসিয়ান বা আরও উঁচুমানের দলগুলোর বিপক্ষে ইতিবাচক ফল দেখতে পাবো।’

তবে এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করে যাওয়া কিংবা উন্নত সুবিধার কোনও বিকল্প নেই। এখন সেসবের প্রয়োজনীয়তার কথা খুব করে উপলব্ধি করছেন ছোটন, ‘সাফল্যের কোনও শেষ নেই। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের অনুশীলনে আরও ভালো সরঞ্জাম দরকার। মেয়েরা বেতন বাড়ানোর আবেদন করেছে। সভাপতি মহোদয় আশ্বাস দিয়েছেন। আমি মনে করি, সবকিছু ঠিক থাকলে একসময় আমরা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবো। সেটা সম্ভবও।’

স্বপ্ন যে মানুষকে অনেক দূর নিয়ে যায়, তার বাস্তব প্রমাণ এই দলটার সফলতা। সানজিদাদের নিয়ে গোলাম রব্বানী ছোটনের ভবিষ্যৎ চিন্তা-ভাবনাটাই এখন বাস্তব। আর তাতে যদি আরও আনন্দের উপলক্ষ চলে আসে, তাহলে তো ফুটবলেরই জয়গান চলবে!






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *