Main Menu

সিলেটে বাদামবাগিচার ঘটনায় মামলা হয়নি, শাহজাহানের অবস্থা আশঙ্কাজনক

সিলেট মহানগরীর এয়ারপোর্ট থানাধীন বাদামবাগিচায় স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে নিজের গলায় ছুরি চালানো শাহজাহান আহমদ (৩০) এখনও আশঙ্কামুক্ত নন। তিনি সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর জ্ঞান এখনও ফেরেনি।

অপরদিকে, শাহজাহানের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত স্ত্রী ও শাশুড়িও ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জ্ঞান ফিরলেও পুরোপুরি কথা বলার অবস্থা নেই তাদের। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়। তাই শাহজাহানের স্ত্রী ও শাশুড়িকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় মামলাও দায়ের করা হয়নি।

এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ মাইনুল জাকির।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সিলেট মনহানগরীর বাদামবাগিচা এলাকার ২ নং রোডের ২৩ নং বাসায় শাহজাহান নামের ওই যুবক  স্ত্রী ও শাশুড়িকে কুপিয়ে নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। শাহজাহান পেশায় কাঠমিস্ত্রি।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়- চলতি মাসের ১ তারিখ সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার চারখাই এলাকার বাসিন্দা শাহজাহান আহমদের স্ত্রী সুলতানা বেগম ফারজানা (২৫) ও শাশুড়ি রোশনা বেগম (৫৩) বাদামবাগিচার ২নং রোডের বকুল মিয়ার (২৩ নং) বাসা ভাড়া নেন। ওই বাসায় শাহজাহান-সুলতানাদম্পতির দুই সন্তান তানহা (৮) ও মাহবুবুল আলমকে (৬) নিয়ে বসবাস করেন স্ত্রী ও শাশুড়ি। তবে মাঝেমধ্যে আসতেন স্বামী শাহজাহান।

শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে শাহজাহান হঠাৎ ওই বাসায় এসে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার স্ত্রী ফারজানাকে কোপাতে থাকেন। পরে শাশুড়ি তার মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে শাহজাহান তাকেও এলোপাতাড়ি কোপ দেন। তারপর আত্মহত্যার চেষ্টায় নিজের গলায়ও ছুরি চালান শাহজাহান।

ঘটনার সময় তাদের সন্তানদের কান্নাকাটি শুনে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসেন এবং স্থানীয় কাউন্সিলর ফরহাদ চৌধুরী শামীম ও পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে কাউন্সিলর শামীম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত স্ত্রী ও শাশুড়িকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে পুলিশ এসে শাহজাহানকেও ওসমানীতে প্রেরণ করে।

 






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *