Main Menu

সিলেটের পর্যটন এলাকায় দর্শকদের উপচে পড়া ভীড়

সিলেটের উত্তর-পূর্বে জৈন্তাপুর গোয়াইনঘাট উপজেলা। মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষা ঝর্ণাধারা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপরূপ লীলাভূমি প্রকৃতিকন্যা লালাখাল, শ্রীপুর, লাল শাপলা বিল ও জাফলং। করোনা মহামারির ফলে গত দুই বছর চারটি ঈদে বন্ধ ছিল সিলেটের পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো। ভ্রমণ পিপাসু লোকজনকে বাধ্য হয়েই অনেকটা বাসা-বাড়িতে ঈদের আনন্দ-উচ্ছ্বাস করতে হয়েছিল।
বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কোনো বিধিনিষেধ না থাকায় প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। যার ফলে ঘরে বসে থাকতে থাকতে হাঁপিয়ে ওঠা পর্যটকরা সিলেটে এসেছেন অনেকটা জনস্রোতের মতো। সিলেটের জাফলং জৈন্তার সকল পর্যটন কেন্দ্রই এখন লোকে লোকারণ্য। প্রকৃতিকন্যা জাফলং, লালাখাল, পান্থুমাই, ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর আর বিছনাকান্দি সব জায়গায় পর্যটকদের ভিড় দেখা গেছে। ঈদের ছুটিতে এত পর্যটক গত তিন বছরের মধ্যে দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয়র।পর্যটকের ঢল নামায় খুশি পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়ীরা। হোটেল-মোটেল ব্যবসায়ী, ট্যুর গাইড, পর্যটকদের ছবি তুলে সংসার চালানো আলোকচিত্র শিল্পীরা বলছেন, দীর্ঘ দুই বছর পর প্রাণ ফিরেছে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে।পাহাড়-টিলা, নদী আর পাথরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলং, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই জৈন্তাপুরের সারি নদী, লালাখাল, হরিপুরের জলাটিলা, লাল শাপলা বিল, শ্রীপুর, কোম্পানিগঞ্জের সাদাপাথর এবং মিঠাপানির একমাত্র জলারবন রাতার গুলের সবুজের সমারোহে পর্যটকদের ভিড় সবচেয়ে বেশি।

জাফলং সাব জোনের ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ শেখ মোঃ রতন বলেন, ‘ঈদুল ফিতর-পরবর্তী সময়ে চারদিন সাব জোনের আওতাধীন জাফলং ভোলাগঞ্জ লালাখাল সহ পর্যটন কেন্দ্র গুলোয় স্থানীয় পর্যটক সহ ২ হতে ৫ লাখ পর্যটক থাকবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এজন্য পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি।

’জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, ‘রাস্তায় যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং দুর্ঘটনা রোধে জৈন্তাপুর থানা পুলিশ সিলেট তামাবিল মহা-সড়কে চোক পোষ্ট বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে মোতায়ন রাখা হয়েছে।’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *