Main Menu

সুনামগঞ্জে বাঁধ পরিদর্শনে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত দল

 

সুনামগঞ্জের হাওর এলাকায় পিআইসির বাঁধের কাজের মান যাচাইয়ে গঠিত পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি  মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে ধর্মপাশ, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলার চন্দ্র সোনার থালসহ কয়েকটি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ রয়েছে। ছয় সদস্যের তদন্ত দলের নেতৃত্বে রয়েছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সৈয়দা সালমা জাফরীন।

তদন্ত দলের প্রধানের সঙ্গে ছিলেন কমিটির সদস্য ও সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিনহা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মাহববুর রহমান, সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার উল হালিম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী এনায়াত উল্লাহ ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোবশেরুল ইসলাম। এছাড়াও সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সৈয়দা সালমা জাফরীন বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজে যারা দুর্নীতি করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টায় ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওরের বাঁধ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি জানান, হাওরে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন বাঁধ আমরা পরিদর্শন করেছি। ইতোমধ্যে ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওর পরিদর্শন করেছি।
তিনি বলেন, হাওরের বাঁধ নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির সাথে জড়িত যারা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দিব।
সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিনহা জানান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির প্রধানসহ আমরা আজ ধর্মপাশা, জামালগঞ্জ ও তাহিরপুর উপজেলার বিভিন্ন হাওরের বাঁধ পরিদর্শন করেছি।
এদিকে, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালকে প্রধান করে ৫ সদস্যের আরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। জেলা প্রশাসকের গঠিত কমিটিও মাঠে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত সুনামগঞ্জের ৬ উপজেলার ১০-১২টি হাওরের বাঁধ ভেঙে অন্তত ৭ হাজার হেক্টর বোরো ফসল তলিয়ে গেছে। এর মধ্যে জেলার দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের প্রায় ৪ হাজার হেক্টর রয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *