Main Menu

হাসান আলির তোপে ৩৩০ রানে থামল বাংলাদেশ

আরো এক প্রথম সেশন, আবারো ব্যাটিং বিপর্যয়। চট্টগ্রাম টেস্টে দৃঢ়তা দেখিয়ে প্রথম দিন শেষ করা বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনেই গুটিয়ে গেছে। সবকটি উইকেট হারানোর আগে টাইগাররা জড়ো করেছে ৩৩০ রান।

৪ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম কেউই বেশিক্ষণ থিতু হতে পারেননি। ২০৬ রানের পার্টনারশিপ ভাঙে লিটনের বিদায়ে। নতুন দিনে দল স্কোরবোর্ডে মাত্র ২ রান জড়ো করতেই হাসান আলীর বলে এলবিডব্লিউ হন প্রথম দিনের চোটের শঙ্কা কাটিয়ে মাঠে ফেরা লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩৩ বলের মোকাবেলায় ১১৪ রান করেন ১১টি চার ও ১টি ছক্কার সহায়তায়।

সাত নম্বরে ক্রিজে নামে ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, যিনি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে অভিষেকের শিকে ছিঁড়তে পেরেছেন এই ম্যাচে। তবে চট্টগ্রামের এই তরুণ ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারেননি। ১৩ বলে কোনো রান করেননি, চতুর্দশ বলে চার হাঁকিয়ে খোলেন রানের খাতা। তবে ওই চার পর্যন্তই সই। ১৯ বলের মোকাবেলায় ৪ রান করে বোল্ড হন ইয়াসির। এবারো শিকারি সেই হাসান!

তবুও দুশ্চিন্তার কারণ কমই ছিল, কারণ ক্রিজে ছিলেন মুশফিক। সেই মুশফিক ৯১ রানে পৌঁছে খেললেন টানা ১৪টি ডট বল, এরপর পঞ্চদশ বলে উইকেটটাই খোয়ালেন। ২২৫ বলের মোকাবেলায় ১১টি চারে সাজানো ৯১ রানের ইনিংস মনে করিয়ে দিল, টেস্টে এর আগেও চারবার নড়বড়ে নব্বইয়ে আউট হয়েছেন মুশফিক, সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যে সংখ্যা এখন ৭।

মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচে পরিণত করে মুশফিককে শিকার করেন ফাহিম আশরাফ। শতকের অপেক্ষায় থাকা মুশফিকের নেয়া রিভিউ কোনো কাজে লাগেনি।

আট নম্বরে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ তার ক্যারিয়ারের একমাত্র শতকটি পেয়েছিলেন চট্টগ্রামে দলের সর্বশেষ টেস্টে। এবারো উইকেটে নেমে তিনি খেলতে থাকলেন স্বাচ্ছন্দ্যে। তবে অপর প্রান্তে তার যোগ্য সঙ্গী হতে পারেননি কেউ। তাইজুল ইসলাম ১১, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহী ৮ ও এবাদত হোসেন গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়ে বিদায় নিলে ১১৪.৪ ওভার ব্যাট করা বাংলাদেশের ইনিংস থামে ৩৩০ রানে। ৬৮ বল ৬টি চারের সহায়তায় ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন মিরাজ।

প্রথম দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের পেসার হাসান আলী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সাড়ে তিন শ’ রানের মধ্যে আটকে রাখতে চান। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে একাই চার উইকেট শিকার করে বাংলাদেশকে তিনি রুখে দিয়েছেন ৩৩০ রানে। ইনিংসে হাসান একাই পেয়েছেন পাঁচটি উইকেট, যার দুটিই ইনিংসের শেষ দুই বলে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *