Main Menu

আমি কি আইন ভেঙেছি, পুলিশকে নাভালনির স্ত্রীর প্রশ্ন

‘আমাকে কেন আটক করছেন? আমি কি আইন ভেঙেছি?’ শনিবার পুলিশের হাতে আটকের পর এ প্রশ্ন করেন রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা আলেক্সেই নাভালনির স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনাইয়া।

সম্প্রতি রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজধানী মস্কোসহ সারাদেশে যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে, তাতে অংশ নিয়েছিলেন ইউলিয়া। ওই বিক্ষোভে অংশ নিতে যাওয়ার পথে তাকে আটক করে দাঙ্গাপুলিশ। কয়েক ঘণ্টা পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হলেও রোববার মস্কোতে তাকে পুনরায় আটক করা হয়।

নাভালনির সমর্থকরা এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘ইউলিয়া নাভালনাইয়াকে নাভালিনপন্থীদের মুক্তির দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ থেকে আটক করা হয়েছে।’

স্বাধীন পর্যবেক্ষক গ্রুপ ওভিডি-ইনফোর তথ্যানুসারে, রাশিয়াজুড়ে বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ থেকে মোট দুই হাজার দুই শ’ ৯১ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। এরমধ্যে শুধু রাজধানী মস্কোতেই পাঁচ শ’ ২০ ও সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে দুই শ’ ৪২ জনকে আটক করা হয়।

আলেস্কেই নাভালসির রাজনৈতিক উত্থান সত্ত্বেও ই্উলিয়া নাভালনাইয়া সবসময়ই নিজেকে আলোচনার বাইরে রেখেছিলেন। আলেক্সেইয়ের সাথে বিভিন্ন বিক্ষোভ ও নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেও জনসমাগমমূলক অনুষ্ঠানে খুব কমই বক্তব্য রেখেছেন।

কিন্তু আগস্টে আলেস্কেই নাভালনি বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে কোমায় গেলে, ইউলিয়া আন্দোলনের কেন্দ্রে আসেন।

রাশিয়ার স্বাধীন সংবাদমাধ্যম তাকে সাবেক মার্কিন ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামার সাথে তুলনা করে। সমর্থকরা চিন্তা করছেন, তিনিই হয়তো দেশটির বিরোধী দলের আন্দোলনকে নেতৃত্ব দেবেন।

আলেক্সেইকে বিষপ্রয়োগের পর ইউলিয়া দ্রুতই সাধারণ ও আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপ সৃষ্টির জন্য পদক্ষেপ নেন, যাতে করে তার জীবন রক্ষা পায়।

তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের দরজায় দাঁড়িয়ে তিনি সাংবাদিকদের সাথে অনলাইন সম্মেলন করে বলেন, রাশিয়ার তার স্বামীর জীবন হুমকির মুখোমুখি।

তার প্রচেষ্টাতেই আলেক্সেইকে জার্মানিতে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়।

পরে নাভালিন হাসপাতালে সংজ্ঞা ফিরে পাওয়ার পর এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে কৃতজ্ঞতায় লিখেন ‘ইউলিয়া, তুমি আমার জীবন বাঁচিয়েছো।’

মস্কোর প্লেখানভ ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিকসে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে ইউলিয়ার গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর প্রথম তার সাথে আলেক্সেইয়ের সাক্ষাত হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বড় মেয়ে দারিয়ার দেখভালের জন্য চাকরি ছাড়ার আগে তিনি একটি ব্যাংকে দায়িত্বরত ছিলেন।

বছরের পর বছর তাদের পরিবার নিরবচ্ছিন্ন নজরদারির মধ্যে রয়েছে। সিএনএস-বেলিংক্যাটের এক যৌথ তদন্তের তথ্য অনুসারে, ২০১৭ থেকে অন্তত ১৭টি শহরে নাভালনিকে রুশ গোয়েন্দারা অনুসরণ করে।

সূত্র : সিএনএন






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *