Main Menu

বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কে পুণরায় রিক্সা চান ব্যবসায়ীরা

সিলেট নগরীর ভিআইপি সড়ক বন্দরবাজার-জিন্দাবাজার-চৌহাট্টা এলাকা যানজটমুক্ত রাখতে গত ১ জানুয়ারি থেকে রিক্সা চলাচাল বন্ধ করে দেয় সিটি করপোরেশন। বন্ধ করার পর থেকে গত ৩/৪ দিন থেকে যানজটমুক্ত ছিল সড়কটি। কিন্তু ব্যস্ততম এ সড়কে পুণরায় রিক্সা চলাচলের দাবি জানিয়ে গণস্বাক্ষর কর্মসূচী দেয় সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী সমিতি। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সিসিকের এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানান তারা।

এ দাবির প্রেক্ষিতে (৫ ডিসেম্বর) মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর বিভিন্ন মার্কেটে রিক্সা চলাচলের দাবিতে সংগঠনটি গণসাক্ষর কর্মসূচি শুরু করে।

এদিকে, সোমবার সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ব্যবসায়ীরা। নেতৃবৃন্দ বলেন, ব্যস্ততম এই সড়কের দুপ্রান্তে রয়েছে অনেক ছোট-বড় বাণিজ্যিক মল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রিক্সা, হাতাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি বন্ধ থাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মালামাল পরিবহেেন ব্যবসায়ীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ আরো জানান, এই ব্যবস্ততম সড়কের মধ্যে রয়েছে স্কুল, মন্দির, মাদ্রাসা, সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক, মসজিদ, মহিলা কলেজ, সংবাদপত্র অফিস সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নগরীর বাসিন্দারা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকেন।

ব্যবসায়ীরা সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রিক্সা চলাচল বন্ধ সমর্থন করে বিকেল ৪টার পর রিক্সা চলাচলের অনুরোধ জানান সিটি মেয়রের কাছে। ব্যবসায়ীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে মেয়র জানান জানান, পণ্যবাহী গাড়িকে মালামাল পরিবহনের রিসিট দেখিয়ে চলাচল করতে পারবে।

সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্য সচিব কিবরিয়া হোসেন নিঝুম জানান, মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলে সিসিক রিক্সা চলাচলে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে। এই সিদ্ধান্তের কোন মানে নেই। তাদের দাবি পরিকল্পনার অভাবের কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিসিক। আমরা ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে গণসাক্ষর কমসূচি শুরু করেছি।

জানা যায়, সিলেট নগরীর কেন্দ্রস্থলের জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার-চৌহাট্টা এলাকায় রিক্সা, ভ্যান ও ঠেলাগাড়ি চলাচলের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ মাইকিং করে প্রচার চালায়। এরপর এ বছরের ২ জানুয়ারি থেকে অভিযানে নামে সিসিক। ইতোমধ্যে ওইসব এলাকাকে রিক্সামুক্ত করা হয়।

জিন্দাবাজার-বন্দরবাজার থেকে চৌহাট্টা মোড় পর্যন্ত সড়কটি একমুখী (ওয়ানওয়ে) যান চলাচল থাকলেও সম্প্রতি সড়ক বিভাজক স্থাপন করে দ্বিমুখী যান চলাচলের ব্যবস্থা করে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে সিসিক। সড়ক বিভাজকের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ এখনো চলছে। বন্দরবাজার-বন্দরবাজার-চৌহাট্টা সড়কে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধসহ সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। এ ছাড়া নগরের প্রধান প্রধান বিপণিবিতানগুলোও জিন্দাবাজারসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থিত। পুরো এলাকার বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ করে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। এসব উন্নয়ন কার্যক্রম শেষে পুরো এলাকাকে নগরীর একটি আদর্শ এলাকায় রূপান্তর করার পরিকল্পনায় যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করে কর্তৃপক্ষ।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *