Main Menu

নতুন বইয়ের গন্ধে মাতোয়ারা শিক্ষার্থীরা

এবার করোনাভাইরাসের কারণে সিলেটে বই উৎসব হয়নি। তার পরও নতুন বছরের প্রথম দিনে শীতকে উপেক্ষা করে সিলেটের স্কুলগুলোতে উপস্থিত হয় প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (১ জানুয়ারি) সকালে বই বিতরণ করা হয় সিলেটের স্কুলগুলোতে। সকাল থেকে শুরু করে দুপুরের মধ্যেই বই বিতরণ কার্যক্রম শেষ হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পৃথক শ্রেণী কক্ষে বই বিতরণ করেন শিক্ষকরা। তবে তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে। উৎসব না হলেও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা গেছে আনন্দের ছাপ। স্কুলের শিক্ষকরা একে একে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অনেকদিন পর তাদের সাথে খোশগল্পে মেতে উঠেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

জানা যায়, সিলেটের ১৩ উপজেলায় ২০২১ শিক্ষাবর্ষের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি, প্রাথমিক স্তর এবং নৃ-গোষ্ঠীর বই বরাদ্দের কথা ছিল ২৬ লাখ ৮ হাজার ৬২৬টি। এই চাহিদার মধ্যেও প্রাপ্ত বইয়ের সংখ্যা ২১ লাখ ৭ হাজার ২৬টি। সেই হিসেব অনুসারে এখনও সিলেটের ১৩ উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৪ লাখ ৩৮ হাজার ৬০০ বইয়ের। ঘাটতি হওয়া বইগুলোর প্রিন্ট শেষ হলেই শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছে দেয়া হবে। এরমধ্যে ৬টি উপজেলায় শতভাগ বই পৌঁছালেও অন্য ৭টি উপজেলায় শতভাগ বই এখনও পৌঁছায়নি। সিলেটের ১৩ উপজেলার মধ্যে দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৭২ হাজার ৬০০। বিশ্বনাথ উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৫১ হাজার ৭৪০। বিয়ানীবাজার উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৬৯ হাজার ৮৫০। জকিগঞ্জ উপেজলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৭৬ হাজার ৬৫০। জৈন্তাপুর উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৫৮ হাজার ২৩২। গোয়াইনঘাট উপজেলায় বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ৯২ হাজার ৫৪৮ এবং কোম্পানীগঞ্জে বইয়ের ঘাটতি রয়েছে ১৬ হাজার ৯৮০।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *