Main Menu

“সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের” সাথে এসএমপি পুলিশ কমিশনারের মতবিনিময় সভা

প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাথে এসএমপি পুলিশ কমিশনারের মত বিনিময়ের ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) সাড়ে ১২ টায় সিলেট মহানগরীর উপশহরস্থ সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ সদর দপ্তর এর সম্মেলন কক্ষে “সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের” সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া এন্ড কমিউনিটি সার্ভিস) বি.এম. আশরাফ উল্যাহ তাহের এর পরিচালনায় উক্ত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন পুলিশ কমিশনার মোঃ নিশারুল আরিফ।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিঃ পুলিশ কমিশনার (সদর ও প্রশাসন) পরিতোষ ঘোষ, অতিঃ পুলিশ কশিনার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোঃ শফিকুল ইসলাম, অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী, অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ আহমদ, অনলাইন প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাধারণ সদস্যগণ। সভার শুরুতে প্রত্যেকেই নিজ নিজ পরিচয় উপস্থাপন করেন। পরবর্তীতে সিলেট মহানগর এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সংক্রান্ত ও সমাধানের বিষয়ে উপস্থিত প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় তারা নগরীর যানজট নিরসন, অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড, ছিনতাই, কিশোর গ্যাং, ডান্ডি-মাদক, জুয়া, তীর শিলং, এসএমপি কর্তৃক অভিযোগ বাক্স কিংবা ইমেইলে অভিযোগ একাউন্ট চালু করা, নগরে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিংয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া, বিভিন্ন অপরাধ দমনে এয়ারপোর্ট রোডে পুলিশি পেট্রোলের সংখ্যা বৃদ্ধি করা, নাগরীর টিলাগড়ে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের প্রস্তাব রাখা, কিশোর গ্যাং এবং অপরাধ দমনে পুলিশি অগ্রগতির বিষয়ে জনসাধারণকে অবহিত করণ, তৃণমূল পর্যায়ে আইন-শৃঙ্খলার সুফলতা পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা এবং জনসাধারণকে পুলিশের কাজে সহযোগিতায় আরও উদ্বুদ্ধ করা, মাদক জুয়া বন্ধে পুলিশের ভূমিকা ইতিবাচক রাখা, সেলফি ব্রিজ-কাজির বাজার ব্রিজ এলাকায় টিকটকের অপসংস্কৃতি রোধে অভিযান দেয়া, কিন ব্রিজ এর মুখে আশেপাশে অবৈধ রিক্সা সিএনজি স্ট্যান্ড উচ্ছেদ করা – মাদকসেবীদের ইয়াবা /ডান্ডির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া,দুষ্কৃতিকারীদের মাধ্যমে গণমাধ্যম কর্মীদের হয়রানি এবং নির্যাতনের দ্রুততম আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আরও গুরুত্ব দেয়া , সিসিকের রাস্তা খননে- ব্যবস্থাপনা ও ঠিকাদারদের অবহেলায় জনদুর্ভোগ লাগব করা, অ্যাম্বুলেন্স সমূহের বেপরোয়া চলাচল হর্ন বাজানো, অবৈধভাবে পাহাড় টিলা কেটে বিলীন করা,স্কুল কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতেপাশ্চাত্যের মত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া, সন্ধ্যার পরে নগরীতে ট্রাক চলাচলে বিশৃংখলা রোধ করা, তেমুখি পয়েন্ট ও বাদাঘাট ব্রিজ যত্রতত্র ওভারলোড ট্রাক পার্কিং-সঠিক বাইপাস ব্যবহার করে ট্রাক চলাচলের ব্যবস্থা নেয়া, নগরীতে অবৈধ সিএনজি,রিক্সা চলাচল বন্ধ এবং লাইসেন্স চেক করে ব্যবস্থা নেয়া, ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের আরো বৃদ্ধি করণ, সব ধরনের যানবাহনে ট্রাফিক সার্জেন্টদের অপরাধ বিবেচনায়‌ মোটরযান মামলা দেয়া, ফেসবুকে ভিডিও আপলোড দেয়ার বিষয়ে সরকারি অনুমোদন, ইয়েলো জার্নালিজম এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া এবং প্রেস এর লোগো ব্যবহার করে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া, মানবিক মূল্যবোধ ও সমাজ গঠনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এবং জনবান্ধব পুলিশিং-এ অনলাইন মিডিয়ার ভূমিকা সংক্রান্ত খোলামেলা আলোচনা করেন। উপস্থিত সকলের মতামত গ্রহণ শেষে পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন আমরা প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়া সকলকে সাথে নিয়ে একটা সুন্দর ও অপরাধমুক্ত সিলেট নগরী গড়তে চাই। সমাজ গঠনের মূল দায়িত্ব পালন করেন আপনারা। আপনাদের লেখনীর মাধ্যমে নগরীর বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জনসাধারনকে সচেতন করেন এবং বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। যে কোন অপরাধ গোড়া থেকে নির্মূল করার জন্য সাংবাদিক ও জনগণ একসাথে কাজ করা প্রয়োজন। তিনি বলেন কিশোর গ্যাং, চাঁদাবাজদের তালিকা প্রস্তুত করে তা প্রতিরোধে অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে। কিশোর অপরাধ,মাদক ড্যান্ডিতে আসক্তদের বিষয়ে সমাজসেবা অফিসারদের নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান। শিলং তীর খেলার এজেন্টদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের সমূলে নির্মূল করা হবে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য থাকলে তা দিয়ে সহায়তা করার জন্য আহবান জানান। এসএমপির বিভিন্ন ফাঁড়ির ইনচার্জ এর বদলি করা হচ্ছে এবং যেকোন পুলিশি হয়রানির বিষয়ে জনগণকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার অনুরোধ জানান। ভোরবেলায় এবং যে কোন স্থানে পর্যটকদের পুলিশি হয়রানি এবং দুর্বৃত্তদের দমনে এসএমপিতে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেন। প্রেস লেখা মোটরসাইকেল এর বিরুদ্ধে ও যানজট নিরসনে এসএমপি’র ট্রাফিক বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। তবে যানজট নিরসনে সড়ক ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টদের আরো বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন।‌এসএমপি তে ধারণ ক্ষমতার বাইরে অত্যধিক যান চলাচল করছে বলেও জানান। তিনি আরও বলেন নগরীতে কোন রেজিস্ট্রেশন বিহীন যানবাহন বিশেষ করে সিএনজি চলাচল করতে দেওয়া হবে না এবং সিএনজিতে গ্রিল লাগানোর বিষয়ে সরকার ঘোষিত আদেশ বাস্তবায়ন করা সহ পারমিট বিহীন চলাচল ও অতিরিক্ত যাত্রী বহনের বিষয়ে জিরো টলারেন্সে কঠোর আইনগতব্যবস্থা নেয়া অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় বিরোধ নিষ্পত্তিতে কমিউনিটি পুলিশিং কে আরো কার্যকরী ভূমিকা রাখা সহ কমিটিসমূহ পুনর্গঠন করা হবে বলে জানান। এসএমপি কমিশনার দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা পূর্ণভূমি সিলেট নগরী-কে সর্বস্তরের জনগণের, গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ও জনবান্ধব পুলিশি সেবা প্রদানে এসএমপি কে আরো ডিজিটাল, বেগবান ও আধুনিকায়ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। পরিশেষে উপস্থিত সবাইকে বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা এবং সকলে একসাথে কাজ করে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সভার সমাপ্ত ঘোষণা করেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *