Main Menu

সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ: সাহেবের বাজারে সরকারি রাস্তার ভূমি আত্মসাৎ করে অপপ্রচার করছেন আক্রাম উদ্দিন

সরকারি রাস্তা রকম ভূমি জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের বাজারতল গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আক্রাম উদ্দিন। শনিবার বৃহত্তর সাহেবের বাজার এলাকাবাসীর পক্ষে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন দেবাইরবহর গ্রামের আব্দুল খালিকের ছেলে এম নুরুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে এম নুরুল ইসলাম বলেন, গত ৯ ডিসেম্বর বাজারতল গ্রামের পল্লী চিকিৎসক আক্রাম উদ্দিন কর্তৃক সংবাদ সম্মেলন করে আমাদের এলাকার অত্যন্ত সুপরিচিত ব্যক্তি যুব সংগঠক সরকার নিবন্ধিত সামাজিক সংস্থা- ইয়াংষ্টার সমাজকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্টাতা ও বর্তমান সভাপতি, সাহেবের বাজার সুন্নিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক, সিলেট সদর উপজেলা স্পোর্টস একাডেমীর সহ গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক ও দেবাইরবহর জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ মতিউর রহমান সম্পর্কে মিথ্যা প্রচারণা চালিয়েছেন। আক্রাম উদ্দিন সরকারি রাস্তা রকম ভূমি জালিয়াতির মাধ্যমে আত্বসাত করে এরকম অপপ্রচার করছেন।
এম নুরুল ইসলাম বলেন সিলেট সদর উপজেলার ফড়িংউরা মৌজার জেএল নং ৫০ এর ২৭৯৫ নং দাগ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে জেলা প্রশাসক সিলেটের নামে ১ নং ডিপি খতিয়ানে ২০০৪ সালের বিএস জরীপে ৮ শতক ভূমি রাস্তা রকম রেকর্ডভুক্ত হয়। এবং চুড়ান্ত ম্যাপ প্রকাশনায় বর্ণিত ভূমি রাস্তা হিসেবে অংকন করা হয়। কিন্তু বর্তমান বিএস প্রিন্ট পর্চা এলাকাবাসীর নিকট আসার পর দেখা যায় যে, জেলা প্রশাসক সিলেটের নামে ডিপি ১ নং খতিয়ানের ২৭৯৫ নং দাগের রাস্তা রকম ৮ শতক ভূমি থেকে ৪ শতক ভূমি আক্রাম উদ্দিন জালিয়াতি করে রেকর্ড বলিউম টেম্পারিং করে নিজের ও তার স্ত্রীর নামে অত্র মৌজার ১৭ নং খতিয়ানে নিয়ে যান। এমনকি তিনি রাস্তা রকম ভূমির শ্রেণী জালিয়াতি করে পরিবর্তন করে ৪ শতক ভূমি ভিটা রকম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। আক্রাম উদ্দিনের এমন জালিয়াতি প্রকাশ হওয়ার পর বৃহত্তর সাহেবের বাজার এলাকাবাসীর পক্ষে মোঃ আব্দুস সালাম বাদী হয়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিলেট সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) শবনম শারমিন গত ১২ ডিসেম্বর উপজেলা সার্ভেয়ারকে সাথে নিয়ে সরেজমিন তদন্তে যান। এ সময় তিনি সরকারি রাস্তার উপর আক্রাম উদ্দিন কর্তৃক ঘর নির্মাণের সত্যতা পান। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে জায়গা সার্ভে করেন এবং ঘর নির্মান বন্ধ করতে মৌখিকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারী করেন। উপস্থিত শতশত এলাকাবাসীর উদ্ধেশ্যে তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তি কেউ যদি অবৈধভাবে নিয়ে যায় সেটা আমরা ফিরিয়ে আনবো। সরকার তার সম্পত্তি রক্ষা করবে। পরবর্তীতে ১৪ ডিসেম্বর সরকারী সার্ভেয়ার জাকির হোসেন আবারো বিএস ম্যাপ মোতাবেক রাস্তার সীমানা নির্ধারণ করে আসেন। ঐ দিন বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী মহুয়া মমতাজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদিকে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস সিলেট জোনে সরকারি ভূমি জালিয়াতির ঘটনার আবেদনের প্রেক্ষিতে আগামী ২৪ ডিসেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য্য করা হয়েছে। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, আক্রাম উদ্দিনের মালিকানাধীন ফয়সল মেডিকেল হল এ মেয়াদোত্তীর্ণ ও নি¤œ মানের ওষুধসহ প্রেসক্রিপশন দেয়ার অপরাধে বেশ কয়েকবার মোবাইল কোর্ট তাকে মোটা অঙ্কের জরিমানা করেছে। সরকারি রাস্তা জালিয়াতি করে দখল করে রাখার কারনে আমাদের সাথে প্রতিবাদী হওয়ায় মতিউরকে জড়িয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আক্রাম উদ্দিনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতে সংষিøষ্ট মহলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য মো. আনছার আলী, সাহেবের বাজার সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসার সভাপতি আলহাজ মাওলানা শামছুর রহমান, সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, সুপার মাওলানা আব্দুর রউফ, অর্থ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাহেবের বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারী শফিকুর রহমান, সাহেবের বাজার হাইস্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সদস্য আব্দুল আলিম, বিশিষ্ট মুরব্বি রইছ আলী, কুতুব উদ্দিন, তৈয়বুর রহমানসহ এলাকার অর্ধশত লোক উপস্থিত ছিলেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *