Main Menu

বিতর্কিত ফরাসি পত্রিকা শার্লি এবদু’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে তুরস্ক

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানকে নিয়ে ব্যাঙ্গাত্বক চিত্র প্রকাশ করায় ফ্রান্সের বিতর্কিত সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন শার্লি এবদু’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে আঙ্কারা। বুধবার পত্রিকাটির বিরুদ্ধে আইনগত ও কূটনীতিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় দেশটি।

তুরস্কের কর্মকর্তারা বলছেন, পত্রিকাটি সাংস্কৃতিক বর্ণবাদ ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এটি ‘ঘৃণ্য প্রচেষ্টা’।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে নিয়ে যে ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে, তার কভারে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান একটি সাদা টি-শার্ট পরে বসে আছেন। হাতে একটি ক্যানের ভেতর পানীয় জাতীয় দ্রব্য রাখা এবং পাশে দাঁড়িয়ে আছে ইসলামিক হিজাব পরা এক নারী।

কার্টুনে আঁকা হয়েছে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিজাব পরা এক নারীর স্কার্ট উঠিয়ে দেখছেন। এতে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে দেখা যাচ্ছে অর্ধ-নগ্ন, তিনি বিয়ারের গ্লাস হাতে আরাম কেদারায় বসে আছেন এবং এক নারীর স্কার্ট তুলে দেখছেন।

তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, দেশটির কৌঁসুলিরা এই রম্য সাময়িকীর বিরুদ্ধে সরকারিভাবে তদন্ত শুরু করেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানের যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক ফাহরেত্তিন আলতুন বলেছেন,‘শার্লি এবদু সম্প্রতি আমাদের প্রেসিডেন্টের চরিত্রকে মিথ্যা রং দিয়ে ন্যক্কারজনক কিছু তথাকথিত কার্টুন ছবি ছেপেছে। সাংস্কৃতিক বৈষম্য আর ঘৃণা ছড়ানোর লক্ষ্যে নেয়া সাময়িকীটির এই জঘন্য প্রয়াসের আমরা নিন্দা জানাচ্ছি।’

তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াদ ওকতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই অসম্মান এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়েছেন।

‘মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সামনে রেখে এধরনের কাজ করে আপনি মানুষকে বোকা বানাতে পারবেন না,’ তিনি এক টুইট বার্তায় লিখেছেন।

এদিকে প্রেসিডেন্ট এরদোগানের ব্যাঙ্গচিত্র ছাপানোর পাল্টা জবাবে তুরস্কের রম্য সাময়িকী ‘মিসভাক’ ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং শার্লি এবদু’র সমালোচনামূলক বেশ কিছু ব্যঙ্গচিত্র ছেপেছে তাদের টুইটার পাতায়।

এর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশ করায় ফ্রান্স ও তুরস্কের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। চলতি মাসেই ফ্রান্সের এক শিক্ষক ক্লাস রুমে ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশ করার পর বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। পরে ওই শিক্ষককে এক মুসলিম তরুণের হাতে প্রাণ দিতে হয়। যদিও তরুণটি হামলার পরেই পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন। ব্যাঙ্গচিত্র প্রকাশের ঘটনায় ওই শিক্ষকের প্রতি সম্মান জানাতে গিয়ে ইসলাম ও বিশ্বনবী (সা.)-এর বিরুদ্ধে অবস্থান নেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।

তুরস্কের যোগাযোগ অধিদফতর বলছে, আমাদের জনগণের সন্দেহ নেই যে- প্রশ্নবিদ্ধ ব্যাঙ্গচিত্রের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় সব আইনগত ও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেয়া হবে। বিবিসি ও রয়টার্স






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *