Main Menu

স্বামীর বিরুদ্ধে ফের নির্যাতনের অভিযোগ বালুচরের মনোয়ারার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

স্বামী সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট এ এইচ এরশাদুল হকের বিরুদ্ধে আবারও নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন নগরীর শাহপরান থানা এলাকার উত্তর বালুচর এলাকার বাসিন্দা মনোয়ারা বেগম।

সোমবার (২৬ অক্টোবর) সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি। এর আগে গত বছরের ১৯ মার্চ সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তার স্বামী ও সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপুর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ করেন।

-সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মনোয়ারা বেগম বলেন, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আমাকে নির্যাতন করা শুরু করেন আমার স্বামী। এতে গর্ভের সন্তানও নষ্ট হয়। বারবার বাসায় এসে টাকা চাইতেন। না দিলে ব্যাপক নির্যাতন করতেন আমাকে। এরপর গত ২১ অক্টোবর সিলেট জেলা বারের ২ নং হলে আমার স্বামীর চেম্বারে একমাত্র সন্তান ইশরাত জাহান ইমুকে (৫) নিয়ে যাই। এ সময় আমি আমার সন্তানের ভরণ পোষণ চাই তার কাছে। এতে তিনি উত্তেজিত হয়ে আমাকে ও তার একমাত্র সন্তানকে মারধর করেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, হিরণ মাহমুদ নিপু নাকি আমাকে শায়েস্তা করবে।

তিনি বলেন, গত বছরের ১৯ মার্চ সংবাদ সম্মেলন করার পরদিন হিরণ মাহমুদ নিপু তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমি শাহপরান থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে বাধ্য হয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত -১ এ মামলা দায়র করি। মামলা নং-৯০। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, গত বছরের ১৪ মার্চ হিরণ মাহমুদ নিপু তার সহযোগীদের নিয়ে আমার স্বামীর সাথে আমার কোনো ধরণের সম্পর্ক নেই উল্লেখ করে একটি ৩০০ টাকার স্টাস্পে স্বাক্ষর নিতে চাইলে আমি দেইনি। এ সময় নিপু আমাকে ধর্ষণ করবে এবং আমার সন্তানকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আমি এসএমপির শাহপরান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করি। যার নং ৬৫৮। জিডিটি তদন্ত শেষে শাহপরান থানা পুলিশ নন জি আর মামলা নং ০২/১৯ হিসেবে ডায়েরিভুক্ত করে। এ মামলায় গত ৮ মে আদালতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে আরামবাগ আনন্দ খেলার মাঠে পৌঁছামাত্র নোহাযোগে আমার স্বামী এরশাদুল হক, হিরণ মাহমুদ নিপু, এহতেশাম হক আকমল, আলম মিয়া, পাপ্পু, জুয়েল মিয়া, আদিত্য, দুখু মিয়া, সায়েম ও সাইদুল ইসলাম আমার গাড়িটি আটকিয়ে প্রথমে আমার স্বামী আমার মেয়েটিকে কোল থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মেরে ফেলতে চায়। আমি বাচ্চাটিকে আগলে রাখতে চাইলে অন্যরা আমাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে তাদের মারধরে আমি মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হলে তারা চলে যায়।

এ ঘটনায় মামলা করলে মামলাটি আদালত তদন্তের জন্য মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দেন। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শেষে ৪ জনকে অভিযুক্ত করে গত ২৮ জানুয়ারি প্রতিবেদন দেয়। এতে অভিযুক্তরা হলেন আমার স্বামী এ এইচ এরশাদুল হক, ছাত্রলীগ নেতা হিরণ মাহমুদ নিপু, আমার ভাসুর এহতেশাম হক আকমল ও তাদের সহযোগী আলম মিয়া।

তিনি নিরাপত্তাহীনতার কথা উল্লেখ করে স্বামী এরশাদুল হক ও হিরণ মাহমুদ নিপু গংদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *