Main Menu

বেতনের টাকার জন্য স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, স্বামী পলাতক

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেতনের টাকার জন্য এক নারী শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা করেছে তার স্বামী। বুধবার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। নিহতের নাম ঝরনা বেগম ওরফে ফুলী (৩০)। তিনি টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার চাঁনপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়ার স্ত্রী।

মৌচাক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক মোল্লাবাড়ি এলাকার সাইদুর রহমান মোল্লার বাড়িতে স্বামীকে সাথে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকে ফুলী। জাহাঙ্গীর মিয়া ফুলীর দ্বিতীয় স্বামী। ফুলী স্থানীয় কোকোলা ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড কারখানায় চাকরি করেন। স্বামী বেকার থাকায় প্রায়ই স্ত্রী-স্বামীর মাঝে ঝগড়া বিবাদ হতো। মঙ্গলবার কারখানা থেকে বেতনের টাকা নিয়ে ফুলী বাসায় ফিরে আসে। এসময় জাহাঙ্গীর তার স্ত্রীর কাছে টাকা চাইলে ফুলী দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। রাতে খাবার খেয়ে দু’জনে ঘুমিয়ে পড়ে। আজ (বুধবার) সকালে কারখানায় যাওয়ার জন্য ফুলীর সাড়াশব্দ না পেয়ে তাকে ডাকতে যায় প্রতিবেশী এক নারী। এ সময় বাইরে থেকে আটকানো দরজার ছিটকিনি খুলে ঘরে ঢুকে তিনি খাটের উপর ফুলীর গলা কাটা লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত চাকু লাশের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী পলাতক রয়েছে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থায় চাকু দিয়ে গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যার পর তার স্বামী বেতনের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিহতের ভাই রুবেলসহ স্বজনরা জানান, প্রায় ৭/৮ বছর আগে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার চাঁনপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে জাহাঙ্গীর মিয়ার সাথে একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের মেয়ে ফুলীর বিয়ে হয়। এটি ফুলীর দ্বিতীয় বিয়ে। ফুলীর প্রথম সংসারে দুই সন্তান ও দ্বিতীয় সংসারে পাঁচ বছরের একটি সন্তান রয়েছে। ওই তিন সন্তান ফুলীর মায়ের সাথে গ্রামের বাড়িতে থাকে।

সূত্রঃ নয়া দিগন্ত






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *