Main Menu

গত ২৪ ঘন্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত ২ হাজার ৪২৩, মৃত্যু ৩৫ জনের

গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪২৩ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২৭২ জন কম আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ হাজার ৬৯৫ জন।
নমুনা পরীক্ষায় আজ আক্রান্তের হার ১৯ দশমিক ০৯ শতাংশ। আগের দিন এ হার ছিল ২১ দশমিক ৫৪ শতাংশ। মঙ্গলবার ছিল ২২ দশমিক ৯১ শতাংশ। বর্তমানে দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত ৫৭ হাজার ৫৬৩ জন রোগী রয়েছেন।
করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৩৫ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে দেশে করোনায় মারা গেছেন ৭৮১ জন। গতকালের চেয়ে আজ ২ জন কম মারা গেছেন। আগের দিন মারা গিয়েছিলেন ৩৭ জন।

বৃহস্পতিবার (৪ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত অনলাইন হেলথ বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ১৬১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন সুস্থ হয়েছেন ৫৭১ জন।
শনাক্ত বিবেচনায় আজ সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৩ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ। আগের দিন সুস্থতার হার ছিল ২১ দশমিক ০২ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মঙ্গলবার সুস্থতার হার ছিল ২১ শতাংশ ও মৃত্যুর হার ছিল ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
নাসিমা সুলতানা জানান, ‘করোনাভাইরাস শনাক্ত করতে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৮টি। আগের দিন নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৫ হাজার ১০৩টি। গতকালের চেয়ে আজ ১ হাজার ৩১৫টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৫০টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১২ হাজার ৬৯৪টি। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১২ হাজার ৫১০টি। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ১৮৪টি বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৭৭টি।
তিনি জানান, যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ৬ জন নারী। বয়স বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন ।
নাসিমা সুলতানা জানান, যারা মারা গেছেন তাদের ৩৫ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ২১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন এবং রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগে ১ জন করে রয়েছেন। এদের মধ্যে হাসপাতালে ২২ জনের, বাসায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় ১ জনকে।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ৩৮৬ জনকে। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৬ হাজার ৭৫৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশন থেকে ছাড়া পেয়েছেন ১৩০ জন, এখন পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন ৩ হাজার ৬৭৪ জন। দেশে মোট আইসোলেশন শয্যা রয়েছে ১৩ হাজার ২৮৪টি। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৭ হাজার ২৫০টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৩৪টি শয্যা রয়েছে। সারাদেশে আইসিইউ শয্যার সংখ্যা ৩৯৯টি এবং ডায়ালাইসিস ইউনিট রয়েছে ১১২টি।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম পর্যায়ে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে ২ হাজার ৩৭৫ জনকে। এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৮ জনকে কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইন থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ছাড়া পেয়েছেন ২ হাজার ৬৩৪ জন, এখন পর্যন্ত মোট ছাড়া পেয়েছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন মোট ৫৭ হাজার ৫৬৯ জন।
দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে সেবা দেয়া যাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে।
অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) এ পর্যন্ত সংগ্রহ করা হয়েছে ২৫ লাখ ৯ হাজার ১৪২টি। গত ২৪ ঘন্টায় বিতরণ হয়েছে ৩২ হাজার ৫৫২টি। এ পর্যন্ত মোট বিতরণ করা হয়েছে ২২ লাখ ৩ হাজার ৭৫টি। বর্তমানে ৩ লাখ ৬ হাজার ৬৭টি পিপিই মজুদ রয়েছে।
গত ২৪ ঘন্টায় হটলাইন নম্বরে ১ লাখ ৬৬ হাজার ৬০৪টি এবং এ পর্যন্ত প্রায় ৯৪ লাখ ১৭ হাজার ১৮১টি ফোন কল রিসিভ করে স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি জানান, করোনাভাইরাস চিকিৎসা বিষয়ে এ পর্যন্ত ১৬ হাজার ২৬৭ জন চিকিৎসক অনলাইনে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। ২৪ ঘন্টায় আরও ৯ জন চিকিৎসক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ২১৭ জন স্বাস্থ্য বাতায়ন ও আইইডিসিআর হটলাইনগুলোতে স্বেচ্ছাভিত্তিতে সপ্তাহে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা জনগণকে চিকিৎসাসেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন।
ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, দেশের বিমানবন্দর, নৌ, সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ৯২৪ জনসহ সর্বমোট বাংলাদেশে আগত ৭ লাখ ৫ হাজার ৪৬৪ জনকে স্ক্রিনিং করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি জানান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৩ জুন পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ৭৭৫ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬২০ জন। ২৪ ঘন্টায় ২৭৭ জন এবং এ পর্যন্ত ৮ হাজার ২৭৭ জন মারা গেছেন ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৩ জুন পর্যন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, সারাবিশ্বে ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৯৩ হাজার ২৪৬ জন। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭১ জন। ২৪ ঘন্টায় ৩ হাজার ৬২১ জন এবং এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৩৪১ জন মারা গেছেন।

সৌজন্যে বাসস






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *