Main Menu

করোনায় একদিনে সর্বোচ্চ ৬ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৯৪

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা এখন পর্যন্ত দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ২৭। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৯৪ জন। নতুন শনাক্তদের মধ্যে ৬৯ জন পুরুষ এবং ২৫ জন নারী। এ নিয়ে দেশে মোট শনাক্তের সংখ্যা ৪২৪ জন।

১০ এপ্রিল শুক্রবার দুপুরে দেশের কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন অনলাইনে প্রচারিত হয়। এ সময় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান। এই সময় যুক্ত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ছয় জন মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ এবং একজন নারী। তাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে আছেন দুই জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আছেন দুই জন, ৭০ থেকে ৮০ বছরে মধ্যে একজন এবং আরেকজনের বয়স ৯০ বছর। এদের মধ্যে তিন জন ঢাকার, দুই জন নারায়ণগঞ্জের এবং একজন পটুয়াখালীর।

নতুন শনাক্তদের বিষয়ে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত ৯৪ জনের মধ্যে ১০ বছরের নিচে চার জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সের মধ্যে ১২ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে ২৯ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৪ জন রয়েছেন। এলাকাভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা শহরের মধ্যে আছেন ৩৭ জন এবং নারায়ণগঞ্জে আছেন ১৬ জন। এছাড়া ঢাকা শহরের মধ্যে সর্বোচ্চ যাত্রাবাড়ীতে আছেন পাঁচ জন।

অধ্যাপক সানিয়া তাহমিনা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ১৮৪টি। নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ২৯৭টি। আগের দিনের তুলনায় ৩১ শতাংশ বেশি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা বেড়েছে ২০০টি, অর্থাৎ ১৮ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হটলাইনের বিষয়ে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ১ লাখ ২২ হাজার ৪৫ জন হটলাইনের মাধ্যমে পরামর্শ নিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ হাজার ৩৭৯ জন মানুষ স্বাস্থ্য বাতায়নের মাধ্যমে সেবা নিয়েছেন। ৩৩৩ নম্বরে ৪৫ হাজার ৭৭৬ জন পরামর্শ নিয়েছেন। আইইডিসিআর-এর হটলাইনে ৩ হাজার ৪৯৮ জন পরামর্শ নিয়েছেন।

সানিয়া তাহমিনা বলেন, ‘চিকিৎসকরা এন-৯৫ মাস্ক নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। বাকি জিনিসগুলো নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। আমরা শেষ চেষ্টা করে যাচ্ছি, যেখান থেকে যতটা পারি এন-৯৫ মাস্ক সংগ্রহ করছি। যেখানে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার সেখানে আমরা দিচ্ছি। ৯২ হাজার টেস্ট কিট আমরা সংগ্রহ করেছি, এরমধ্যে বর্তমানে মজুত আছে ৭১ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ লাখ ২০ হাজার ৬৬০টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এরমধ্যে বিতরণ করা হয়েছে ৪১ হাজার ৫০০টি। আমাদের মজুত বেড়েছে ৩৯ হাজার ১৪০টি। বর্তমান মজুত হচ্ছে ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭২টি।’

বুলেটিনে জানানো হয়, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন ১১ হাজার ৮০৯ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৭৯২ জন। সারাদেশে ৪৭০টি প্রতিষ্ঠানকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *