Main Menu

হাসপাতালে ৩ লাখ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিভিন্ন হাসপাতালে তিন লাখ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত বিভিন্ন হাসপাতালে তিন লাখ পিপিই বিতরণ করা হয়েছে। আমাদের এ মুহূর্তে প্রায় ৫০০ ভেন্টিলেটর হাতে আছে। এ ছাড়া আরো সাড়ে ৪০০ আসবে, বর্তমানে আমাদের হাতে করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার কিট আছে ৪৫ হাজার।’

রোববার সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে যুক্ত হয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন আরও বলেন, ‘আপনারা এটা জেনে খুশি হবেন, আমাদের হাতে আড়াইশ ভেন্টিলেটর চলে এসেছে। তা আমরা বিভিন্ন হাসপাতালে হস্তান্তর করেছি। এবং আমাদের ইমপোর্টেও প্রায় সাড়ে ৩০০ ভেন্টিলেটর আছে। অনেক বড় বড় দেশেও এতগুলো ভেন্টিলেটর থাকে না। আমরা এর আগে প্রস্তুতি নিয়েছি বিধায় বাংলাদেশ ভালো আছে।’

বিভ্রান্তি না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অনেক চ্যানেলে বলেছে, আমাদের মাত্র ২৯টি ভেন্টিলেটর আছে। এটা সঠিক নয়। কাজেই আমাদের হাতে কতগুলো ভেন্টিলেটর আছে, সেটা আপনাদের জানালাম। আজও প্রায় ৫০০ ভেন্টিলেটর আছে। আরো ২৫০টি ভেন্টিলেটর আসছে। বিশ্বের অনেক দেশেও এত ভেন্টিলেটর নেই।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো জানান, আইইডিসিআর, আইপিএইচ, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন, আইসিডিডিআরবি, শিশু হাসপাতাল, চিলড্রেন হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন ও Idesh নামের একটি বিজ্ঞানভিত্তিক অলাভজনক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে PCR টেস্ট করার জন্য ইতিমধ্যে প্রস্তুত আছে। এ সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।

ঢাকার বাইরে প্রতিটি বিভাগে PCR টেস্ট সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ট্রপিকাল মেডিসিন অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিস হাসপাতালে করোনাভাইরাস পরীক্ষা শুরু হয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে PCR মেশিন বসানোর কাজ প্রায় শেষ। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে অন্য বিভাগগুলোতেও করোনাভাইরাস পরীক্ষা চালু হবে।

সরকার ঠিকমতো ও সঠিক সময়ে ‘পদক্ষেপ’ নেওয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে পৃথিবীর অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো আছে বলে মন্তব্য করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এখন ভালো আছি। আমরা চাই, সকলে মিলে নিয়মকানুন মেনে চললে আমরা ভালো থাকব, ভালো থাকতে চাই। পৃথিবীর সঙ্গে তুলনা করলে বাংলাদেশ অনেক ভালো আছে। কাজেই ভালোটা আমরা রাখতে চাই। সকলে মিলেই কাজ করছে। ইনশাআল্লাহ, এই করোনাভাইরাস থেকে দেশ ও মানুষ ভালো থাকবে।’

অনলাইনে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা গতকালকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলাম। তাঁরা আমাদের কিছু গাইডলাইন দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আরো ১০টি দেশ ছিল। জাতিসংঘও সন্তুষ্ট হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীকে আমরা প্রতিদিন জানাই। তিনিও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘অনেকেই বলছেন, আমাদের দেশে রোগীর সংখ্যা কম কেন? সংখ্যা বাড়লে কি আমরা খুশি হই? আমরা চাই কি বেশি বেশি লোক সংক্রমিত হোক আর বেশি বেশি লোক মৃত্যুবরণ করুন। আমরা চাই, দেশে লোক সংক্রমিত না হোক, লোক মারা না যাক। এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়।’

এ ছাড়া তেজগাঁওয়ে গণস্বাস্থ্য ও আকিজ গ্রুপের যৌথ হাসপাতাল তৈরিতে স্থানীয়দের বাধা দেওয়ার প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসছে। কেউ ভবন দিচ্ছে, পিপিই দিচ্ছে, এতে আমরা আনন্দিত।

তিনি বলেন, ‘আকিজ গ্রুপ ভবন তৈরি করে দিতে চায় এবং তাতে সমস্যা না হয়, সেটা দেশবাসীর জন্যই সুবিধা হবে। আমাদের প্রয়োজন না হলে ব্যবহার করব না। আমাদের অনেকগুলো হাসপাতাল চিহ্নিত করা আছে। এরপরও প্রয়োজন হলে সেখানে রাখা যাবে। আমাদের মনে হয়, জনগণের সহনশীল হওয়া উচিত।’






Related News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *